নিজস্ব প্রতিবেদক: ক্রমেই দেশ জুড়ে জনপ্রিয় হচ্ছে এজেন্ট ব্যাংকিং। হাতের নাগালে ব্যাংকিং সেবা পেতে এজেন্ট ব্যাংকিংয়ে আগ্রহী হচ্ছেন গ্রাহকরা। পাশাপাশি ব্যয়সাশ্রয়ী হওয়ায় প্রচলিত শাখা খোলার চেয়ে এজেন্ট ব্যাংকিংয়েই বেশি আগ্রহ দেখাচ্ছে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো। ফলে এজেন্ট আউটলেটের সংখ্যা, গ্রাহক ও লেনদেনের পরিমাণ দিন দিন বাড়ছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ ত্রৈমাসিক প্রতিবেদন অনুযায়ী, এজেন্ট ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে সংগৃহীত আমানত গত তিন মাসের তুলনায় মার্চ শেষে ১৩ দশমিক ৫৪ শতাংশ বেড়ে ৮ হাজার ৫৩৫ কোটি ৪ লাখ টাকায় পৌঁছেছে।
আমানত সংগ্রহের ক্ষেত্রে ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ এজেন্ট ব্যাংকিংয়ের আমানতের সর্বোচ্চ শেয়ার ২৫ শতাংশ, ডাচ্-বাংলা ব্যাংক ২০.৫৩ শতাংশ, আল-আরাফাহ ইসলামী ব্যাংক ১৮.৭৯ শতাংশ, ব্যাংক এশিয়া ১৭.৯৯ শতাংশ এবং অগ্রণী ব্যাংক ৩.৫১ শতাংশ বাজারে রয়েছে।
চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে মার্চ- এই তিন মাসে নতুন এজেন্ট বেড়েছে ৪০৪ জন। আউটলেট বেড়েছে ৫৫৫টি। গ্রাহক বেড়েছে প্রায় সোয়া ১২ লাখ। আমানত বেড়েছে হাজার কোটি টাকারও বেশি। এই সময়ে প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্স বিতরণ বেড়েছে প্রায় ২৬ শতাংশ। এ ছাড়া ঋণ বিতরণ বেড়েছে ৫১ শতাংশ।
যেখানে ব্যাংকের কোনো শাখা নেই বা শাখার মাধ্যমে ব্যাংকিং কার্যক্রম পরিচালনা অধিক ব্যয়বহুল ও লাভজনক নয়, এ রকম দুর্গম ও প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষের কাছে ব্যাংকিং সেবা পৌঁছে দিতে ২০১৩ সালের ৯ ডিসেম্বর এজেন্ট ব্যাংকিং নীতিমালা জারি করে বাংলাদেশ ব্যাংক। শহরের চেয়ে গ্রামেই বেশি জনপ্রিয় এজেন্ট ব্যাংকিং। বর্তমানে ২২টি বাণিজ্যিক ব্যাংক ৮ হাজার ২৬০টি মাস্টার এজেন্টের আওতায় ১১ হাজার ৮৭৫টি আউটলেটের মাধ্যমে এই সেবা দিচ্ছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদনে দেখা যায়, চলতি বছরের মার্চ পর্যন্ত এজেন্ট ব্যাংকিংয়ের আওতায় ৬৪ লাখ ৯৭ হাজার ৪৫১ জন গ্রাহক হিসাব খুলেছেন। এসব হিসাবে জমাকৃত অর্থের স্থিতি দাঁড়িয়েছে ৮ হাজার ৫৩৫ কোটি টাকায়। গত ডিসেম্বর পর্যন্ত গ্রাহক ছিল ৫২ লাখ ৬৪ হাজার ৪৯৬ জন এবং আমানত স্থিতি ছিল ৭ হাজার ৫১৭ কোটি টাকা। অর্থাৎ তিন মাসে গ্রাহক বেড়েছে ১২ লাখ ২৮ হাজার ৯৫৫ জন এবং আমানত স্থিতি বেড়েছে প্রায় ১ হাজার ১৮ কোটি টাকা।